‘ তুই একটা ভুল অংক
তুইই ঠিক ঠাক
তুই ছাড়া আমার হৃদয়
বড্ড নির্বাক।’
এই তুই টা কেমন তুই? কে এই তুই? টং করে মাথার তারটা যেন ছিঁড়ে গেল পাভেলের। তার প্রিয়তমা স্ত্রী অদ্রি তার শাড়ীর ভাঁজে যত্ন করে কার জন্য এই চিরকুটটা লিখে রেখে গেছে? নিশ্চয়ই তার জন্য নয়? তাহলে কার জন্য? নিজের স্ত্রী যখন তারই অগোচরে অন্য কাউকে ভালোবাসে, প্রেম করে- সেই রকম একজন হতভাগ্য স্বামীর মত প্রচণ্ড ঈর্ষা তাড়িত হল পাভেল। রাগে গা জ্বলতে শুরু করছে, মাথার চুল টেনে ছিঁড়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে তার।
তড়িৎ গতিতে লাইটার দিয়ে চিরকুটে আগুন ধরিয়ে দিল পাভেল। রাগে তার সারা শরীর থরথর করে কাঁপছে। এই তুই টা কে? এই তুই টার জন্য সে তার অদ্রিকে হারিয়েছে। পাভেল ঘুরে তাকিয়ে দেখল তার রুমের সারা দেয়ালে লেখা – আমার একটা তুই চাই। এবার পাভেল ঠাণ্ডা মাথায় একটা মার্কার পেন নিয়ে দেয়ালের কাছে গেল, তারপর প্রতিটা তুই এর উপর ক্রস চিহ্ন দিয়ে একটা নির্লিপ্ত ক্রুর হাসি হেসে মাটিতেই বসে পড়ল।
দেয়াল ঘড়ির দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে। অদ্রির আসার অপেক্ষা করছে।