নোবেলজয়ী কথাসাহিত্যিক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে পৃথিবীজুড়ে বিখ্যাত হয়েছেন তাঁর স্বকীয় লেখনীশৈলীর কারণে। মেদহীন ঝরঝরে গদ্যে, অন্পকথায় জীবনের সবচেয়ে জটিল সমস্যাগুলো বলে ফেলেন তিনি। তাঁর লেখনীর ধরনকে ব্যাখ্যা করা হয় ‘আইসবার্গ থিওরি’ হিসেবে, যেটি ‘Theory Of Omission' হিসেবেও ব্যাখ্যাত। যেকারণে খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক গেব্রিয়াল গার্সিয়া মার্কেস তাঁর এই প্রিয় প্রয়াণে উল্লেখ করেন, তাঁর (হেমিয়ওয়ের) লেখা আপাতদৃষ্টিতে সহজ সরল স্পষ্ট, এমনকি নাটকীয় মুহূর্তেও প্রায় সময় নির্লিপ্ত। কিন্তু সাদাসিধে এই সাহিত্যের তলদেশে লুকিয়ে আছে, একে উঁচু করে তুলে ধরেছে নিগূঢ় প্রজ্ঞা।
গোটা মার্কিন সাহিত্যে হেমিংওয়ের মতো করে যুদ্ধকে আর কেউ উঠিয়ে আনতে পারেননি। ফলে বিশ্বসাহিত্যে ওয়ার রাইটিংস বা যুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যকর্মের প্রসঙ্গ উঠলেই চলে আসে তাঁর নাম। হেমিংওয়ে নিজে যুদ্ধসৈনিক ছিলেন বলেই হয়তো তাঁর সাহিত্যে যুদ্ধের ভয়াবহতা ও যুদ্ধপরবর্তী নিঃসঙ্গতা বা হতাশার কথা যেন মর্মস্পর্শী হয়ে উঠে এসেছে।