দ্বীনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর একটি হচ্ছে সামাজিক রীতিনীতি। সমাজে কোথায় কখন কী করতে হয়, কীভাবে বলতে হয়, কার সাথে চলতে হয়, লেনদেনের আদবকেতা, ঘরের মানুষদের সাথে আদবকেতা, ইত্যাদি বিষয় এর অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, আমাদের আলোচনায় দ্বীনের অন্যান্য বিষয়গুলো এলেও কেন যেন এই বিষয়টি সম্পূর্ণ উপেক্ষিত থাকে। ফলে ভাইয়ে ভাইয়ে শত্রুতা, পারস্পরিক হিংসা বিদ্বেষ, মুসলিমদের ভিতর ঝগড়া বিবাদ, স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ-বিচ্ছেদ সহ নানা ধরণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। আর এসব কিছুর মূলে দেখবেন, মানুষের পারস্পারিক আদবকেতা ঠিক নেই। এর অভাবেই পরস্পর মনোমালিন্য ও শত্রুতার সৃষ্টি হয়, যা ভালোবাসা ও সৌহার্দ-সম্প্রীতির পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।
আত্মশুদ্ধির ময়দানে হজরত আশরাফ আলী থানবিকে ইমাম গণ্য করা হলেও তিনি ইসলামের সামাজিক রীতিনীতির প্রতি সবথেকে বেশি জোড় দিতেন। বলতেন, ‘জিকির-শোগলের প্রতি আমার দৃষ্টি ততটুকু নয়, সমাজ ও চরিত্র সংশোধনের প্রতি যতটা। কেননা এর সম্পর্ক অন্যের সঙ্গে।’ এই বিষয়ে মানুষ তাঁর কাছ থেকে উপকৃত হয়েছে। হজরতের সেসব ওয়ায নসিহত, লেখনী এবং মালফুজাত নিয়ে ‘ইসলামের সামাজিক রীতিনীতি’ গ্রন্থটি। সমাজের প্রতিটি স্তরে সালামের আদব থেকে শুরু করে বিদায়ের আদব পর্যন্ত মুআশারাতের খুঁটিনাটি প্রায় সবকিছুই এতে স্থান পেয়েছে।