‘উদ্ভ্রান্ত-প্রেম’ সাতটি শােকোজ্জ্বাসপূর্ণ রচনার সংকলন। রচনাগুলাের নাম—সেই মুখখানি, জাহ্নবীতীরে, প্রাণের ব্যবসায়, পূর্ণিমার শশী, শ্মশানে, নব-বসন্ত-সমাগমে, শয়ন-মন্দিরে। এ সাতটি রচনা বিচ্ছিন্ন নয়, পরস্পর সংলগ্ন। জনৈক বন্ধুকে চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন যে প্রথম রচনাটি তিনি লিখেছেন বহরমপুরে, দ্বিতীয়টি কলকাতায় এবং বাকিগুলাে রাজশাহীর পুঁটিয়ায়।
'উদ্ভ্রান্ত-প্রেম' যে চন্দ্রশেখরকে প্রভূত সাহিত্যিক খ্যাতি এনে দিয়েছিল সে কথা বলাবাহুল্য। এ গ্রন্থের জন্য জীবিতকালেই তিনি উচ্চপ্রশংসিত হয়েছিলেন। একজন এম. এ পাশ যুবকের প্রশংসার কথা চন্দ্রশেখর উল্লেখ করেছেন। সেই যুবক অন্য একজনকে বলেছিলেন “দেখুন, আমার স্ত্রীকে আমি বড় ভালােবাসি; কিন্তু আমার সেই স্ত্রী মরিয়া যাক, আমি যেন ‘উদ্ভ্রান্ত-প্রেমে'র মতাে বই লিখিতে পারি।” (সাহিত্য সাধক চরিতমালা)। গ্রন্থ রচনার জন্য পত্নী-বিয়ােগ কামনাই বুঝিয়ে দেয় চন্দ্রশেখরের বইটি এক সময় বঙ্গীয় যুবককুলকে কতখানি ভাবাকুল ও উন্মত্ত করে তুলেছিল।