১৯৭১ সালে বিশ্বের সিভিল সমাজ সমর্থন করেছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে। যেমন, মার্কিন সরকার ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে, আর আমেরিকার মানুষজন ছিল বাংলাদেশের পক্ষে। এবং এই সিভিল সমাজের কারণেই আমেরিকা, ইউরােপ বা লাতিন আমেরিকার অনেক দেশ বাংলাদেশের বিপক্ষে যুদ্ধে নামেনি। ১১ সেক্টরের মতাে ড. মামুন বিশ্ব সিভিল সমাজকে আরেকটি সেক্টর হিসেবে উল্লেখ করেছেন। লিখেছেন তিনি“মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত নানা উপাদান নাড়াচাড়া করার সময় এই সেক্টরের কথা আমার মনে হয়। কোথায় ইকুয়েডর, সেখানেও একজন পত্রিকায় বাংলাদেশের পক্ষে লিখেছেন। বুয়েনেস আয়ার্সে বাের্হেস, ওকাম্পাে বাংলাদেশের সমর্থনে রাস্তায়, জার্মানির গ্রামে গ্রামবাসী জমায়েত হয়েছেন বাঙালিদের জন্য, আনা টেইলর হােয়াইট হাউসের সামনে অনশন করেছেন। ভিরমিয়েরের ছবি চুরি করেছেন একজন, প্যারিসে এক যুবক ছিনতাই করছেন পিআইএর বিমান, লন্ডনে একজন বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন, ভাবা যায়? এসব ঘটনা আমাকে অভিভূত করেছে।” ইতােমধ্যে এ সেক্টর নিয়ে মুনতাসীর মামুনের তিনটি গ্রন্থ বেরিয়েছে। এখন বের হলাে চতুর্থ গ্রন্থ।