মানুষ কেন আত্মহত্যা করে? বলা মুশকিল। দুঃখে, শোকে, রোগে, বিতৃষ্ণায় করে। কিংবা হঠকারিতা বা হতাশায়। কারও কারও ঝোঁকও থাকে। কারণ যাই হোক না কেন, একটি আত্মহত্যার ঘটনা জীবনের পর্বগুলোকে কীভাবে বদলে দেয় এই উপন্যাস তারই মরমী কথাচিত্র। সারাজীবন বৃদ্ধ শিবনাথ একটি গভীর বেদনা গোপনে বহন করে চলেছেন। তাঁর একমাত্র কন্যা অমলার স্বামী কেন আত্মহত্যা করেছিল, তার কারণ তিনিই কেবল জানেন। আর কেউ নয়। এমনকী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অমলাও জানে না। পালিতা কন্যা বিনতা আস্তে আস্তে দূরে সরে যায় অমলার বিপর্যয়ে। শিবনাথ এখন একটু একটু করে শেষ দিনের দিকে এগিয়ে চলেছেন। যদিও বয়েস তাঁকে নিয়ে যাচ্ছে না, নিয়ে যাচ্ছে তাঁর ভেতরের দুঃখ। শিবনাথ ধরে নিয়েছেন, মানুষের জীবন এক অজানা যাত্রা, পথযাত্রা। জামাইয়ের মৃত্যুকে তিনি সেই পথের প্রাপ্য হিসেবে মেনে নিয়েছিলেন, লুকিয়ে রেখেছিলেন মনের গহনে। কিন্তু ‘বাবা কেন আত্মহত্যা করেছিল’-নাতি ফাগুনের এই উদ্যত প্রশ্ন শিবনাথকে নিরুত্তর থাকতে দেয়নি। কী সেই উত্তর? বিমল করের জাদু কলমে মানুষের অন্তলোকের আশ্চর্য চিত্রবিন্যাস এই উপন্যাসে।