ভাদুড়ি মশাই নিরুদ্দেশ। সকালবেলায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে বালিগঞ্জ লেকে জগিং করতে গিয়ে তিনি আর ফেরেননি। কোনও খোঁজও তাঁর পাওয়া যাচ্ছেনা। ব্যাপারটা নিয়ে সবাই যখন বিভ্রান্ত, ঠিক সেইসময়েই এল রহস্যময় ফোন। সাংবাদিক কিরণ চাটুজ্যেকে আগরতলায় যেতে হবে। এবং অবিলম্বে। রহস্যের গিট কিন্তু ত্রিপুরাতেও খুলছে না। আগরতলা থেকে সিপাহিজলা; সিপাহিজলা থেকে সাগরমহল; সাগরমহল থেকে উদয়পুর। প্রতিটি জায়গায় যেসব কাণ্ড ঘটতে থাকে, রহস্যের গিঁট যেন তাতে আরও শক্ত হয়ে এঁটে যায়।ফলে, কাহিনী রপটভূমিও ত্রিপুরা থেকে সরে আসে ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বরে। সেখানে, ভাদুড়িমশাইয়ের বাল্যবন্ধু কোটিপতি ব্যবসায়ী বঙ্কু ঘোষের বাড়ির উপরে, রহস্যের আলো এসে কেন্দ্রীভূত হয়। নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী একালের অগ্রণী কবিদের অন্যতম। অথচ, রহস্য কাহিনী রচনাতেও তিনি যে সমান সিদ্ধহস্ত, তা আর এখনকার ও অজানা নয়। তাঁর সৃষ্ট শখের গোয়েন্দা ভাদুড়িম শাইয়ের কীর্তিকাহিনীর কথাও ইতিমধ্যে বাঙালি পাঠকদের জানা হয়ে গেছে। সেই অদ্ভূতকর্মা ভাদুড়িমশাইয়ের নূতন কীর্তি নিয়ে রচিত হয়েছে এই জমাট রহস্য-উপন্যাস ‘চশমার আড়ালে’।