চলে যেতে যেতে সে থমকে দাঁড়ায়, এই রাস্তার ধারে সেই যে বাড়িটা, কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সেটার মতোন। তার সময় যেন মধ্য দুপুরের বিষণ্ণ সময়ের মতোন ঝিম ধরে থাকে। মুহূর্তের মধ্যে বিচ্ছিন্ন এক সময়, ঘড়ির কাঁটার উল্টো দিকে যাত্রা শুরু করে। পথ চলতে চলতে সে নেমে যায় পুকুরের পানা জলে। বিভোর হয়ে দেখে জলের আর আকাশের মিতালি। বুঁদ হয়ে থাকে নিবিড় শূন্যতায়। আচমকা জলের প্রতিফলনে চোখে পড়ে কারো প্রতিচ্ছায়া, এ কে? সে কোথায়? সে-ই কবি! আচ্ছা অন্য কেউ কি দ্যাখে এই পৃথিবীবিচ্ছিন্ন মানুষটিকে, দেখতে কি পায় তার প্রতিচ্ছবি এমন নিটোল জলের ধ্যানমগ্ন ঢেউয়ে? আবার সে পথ চলে। সময়ের বিপরীতে। সামনে পড়ে পায়ে চলা পথ। মেটো সেই পথে কতবার কতভাবে সে গিয়েছে হেঁটে। দু’পাশে সবুজ ঘাসের গা ঘেঁষে দুই চারটি মরা ঘাসের চিহ্ন পরে আছে। বোধহয় সবটুকু সবুজই যে জীবন নয়, সাথে জীবনের চিরসত্যটুকু মৃত্যুর মতোন সত্য হয়ে থাকে একই সাথে; তারই একটি উদাহরণ তুলে রেখে সে প্রচ্ছদ সাজায়। যদিও এই প্রচ্ছদের পরতে পরতে মেখে থাকা বিচিত্র রঙ কখনো কখনো তাকে বিদ্ধ করে। তবুও সে হেঁটে যায় লঘু পায়ে, কবিতার সাথে চন্দনের বনে।