বুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই মিন্তি কলকাতার টাটা মেডিকেল সেন্টারের ডরমিটোরি ‘প্রেমাশ্রয়া’র ২০২ নম্বর সুইটের ফ্রিজের তলা থেকে দেখে আসছে মানুষেরা কীভাবে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে; কখনো জয়ী হয়, কখনো হেরে যায়। সবার জন্যই তার ভীষণ মায়া। তবে ঝুমা নামের তরুণীটির জন্য তার মায়াটা বড্ড বেশি। কারণ?
ঝুমা আপু এই সুইটে থেকে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছে। তার মনটা ভীষণ নরম, সবার জন্য তার খুব মায়া; সবাইকে সে খুব ভালোবাসে। ঝুমা আপু যেন শুধু ভালোবাসার জন্যই পৃথিবীতে এসেছে। মিন্তিও তাই তাকে খুব ভালোবাসে, সে সারাক্ষণ প্রার্থনা করে, ঝুমা আপু যেন সেরে ওঠে।
কিন্তু ঝুমা কি ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে জিতেছিল? নাকি হেরে গিয়েছিল? আর মিন্তিই বা কেন একদিন নিজের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছিল? সে যা চেয়েছিল, তা কি পেয়েছিল?
ব্যাধির বিরুদ্ধে মানুষের প্রাণান্তকর লড়াই, কখনো জয়, কখনো পরাজয়; তারই মাঝে সুখ-দুঃখ, মায়া-মমতা-ভালোবাসায় ভরা চিরায়ত জীবনের এক অসাধারণ কাহিনি। একবার পড়তে শুরু করলে শেষ না হওয়া পর্যন্ত থামা যায় না।