‘প্রতিহিংসা’ উপন্যাসে আছে সিরিয়াল হত্যারহস্য। হঠাৎই কলকাতায় একইভাবে নিহত বারবনিতাদের দেহ একের পর এক পাওয়া গেলে পুলিশ হয়ে ওঠে বিভ্রান্ত। নিহতদের কারও সঙ্গে কারও কোনও মিল নেই, কেবল পেশাগত মিল ছাড়া। পুলিশের অনুরোধে তদন্ত শুরু করেন শৌখিন গোয়েন্দা নীলকণ্ঠ সেন। হত্যাকারীদের মনস্তত্ত্ব ঘাঁটতে গিয়ে হত্যার কারণ সম্বন্ধে নতুন এক সম্ভাবনার সূত্র ধরে জটিল এই সিরিয়াল হত্যারহস্যের সমাধান কেমন করে করলেন এই গোয়েন্দা, তারই দুরন্ত কাহিনি ‘প্রতিহিংসা’।গোয়েন্দা নীলকণ্ঠ সেনেরই আর-একটি রহস্যসন্ধানের কাহিনি ‘দ্বিচারী’। দশতলা বাড়ির বারান্দা থেকে নীচে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তরুণী ডাক্তার শ্রাবন্তী গুপ্তর। পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে জানা যায় অবিবাহিতা শ্রাবন্তী ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা। শ্রাবন্তীর বাড়ির লোকের অনুরোধে কেসটা হাতে নিয়ে গোয়েন্দা নীলকণ্ঠ সেন নিশ্চিত হন যে এটি আত্মহত্যা নয়, এটি অবশ্যই হত্যা। ঘটনার অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা গেল শ্রাবন্তীর পুরুষবন্ধুরা আসলে ছিল তার প্রেমাকাঙক্ষী ও অনুরক্ত, যাদের মধ্যে যে-কেউই তার হত্যাকারী হতে পারে। জটিল এই হত্যারহস্যের সমাধান করেন বুদ্ধিমান গোয়েন্দা। খুনি ধরা পড়ে। অসীমপদ চক্রবর্তীর গতিময় রহস্যকাহিনি দুটি পাঠককে অন্যমনস্ক হতে দেয় না।