আশ্চর্য প্রতিভার অধিকারী ছিলেন দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর। বিরল পাণ্ডিত্যের পাশাপাশি তাঁর আত্মভোলা স্বভাবটিও ছিল অতুলনীয়। তাঁর ছিল ‘মানসিকতার নানা মহলের ঐশ্বর্য’। একদিকে যেমন ছিলেন ‘হিন্দুমেলা’র অন্যতম উদ্যোক্তা, ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’ ও ‘ভারতী’ পত্রিকার সম্পাদক, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ-এর সূচনাকালের উদ্যোগী, অন্যদিকে তেমনই অনুবাদ করেছেন ‘মেঘদূত’, রচনা করেছেন ‘স্বপ্নপ্রয়াণ’ রূপক কাব্য, মগ্ন থেকেছেন ভারতীয় দর্শন-পাশ্চাত্য দর্শনের তত্ত্বালোচনায়। পাশাপাশি মত্ত হয়েছেন ইউক্লিড-ত্রুটিমুক্ত জ্যামিতি চিন্তায় বা বৈজ্ঞানিক পরিভাষা নির্মাণে, এমনকী বিনা আঠায় কাগজের বাক্স তৈরিতেও। উনিশ শতকের এই অন্যতম ‘রেনেসাঁস ম্যান’-এর বর্ণময় জীবন ও সৃষ্টিকর্ম নিয়ে প্রকাশিত হল নরেশচন্দ্র সাহার ‘দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর: সৃজনে ও মননে’। এই গ্রন্থে বিরাজ করছে দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমকাল ও ঠাকুরবাড়ির দুর্লভ পরিবেশ। অসামান্য দ্বিজেন্দ্রনাথ যেন তাঁর সমগ্র নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন এ যুগের পাঠকের সামনে।