অনেক দিন পর রুডল্ফ আর ইসাবেলের দেখা। আজ মানসিক হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছে ইসাবেল। রুডল্ফের বয়ানে পড়া যাক তাদের কথোপকথন: আবার নামটা উচ্চারণ করলাম আমি, ‘ইসাবেল।’ ঘাড় ফিরিয়ে তাকাল আমার দিকে, ‘আপনি কি কিছু বলছেন?’ ‘ইসাবেল! তুমি কি আমাকে চিনতে পারছ না? আমি...আমি রুডল্ফ।’ ‘রু-ড-ল্-ফ? রুডল্ফ কে?’ ইসাবেলকে হতভম্ব দেখাচ্ছে। বললাম, ‘আপনার সঙ্গে বেশ অনেক দিন কথা হয়েছে আমার। আমরা অনেক বিষয় নিয়ে গল্প করেছি। আপনার কি কিছুই মনে নেই?’ ‘অনেক দিন? কিন্তু...আমার তো একটা কথাও মনে পড়ে না!’ আমি বোবা হয়ে বসে থাকলাম। ইসাবেল জিজ্ঞেস করল, ‘আপনি ইসাবেল বলছিলেন কাকে? কাকে ডাকছিলেন?’ আমি ঢোঁক গিলে বললাম, ‘না, কাউকে ডাকছিলাম না। ওই নামে একজনকে চিনতাম আর কি। চিনতাম মানে, সামান্য পরিচয় ছিল।’ ‘কে সে? এখানে ছিল বুঝি? তারপর চলে গেছে?’ মাথা নাড়লাম আমি, ‘না, এখানে সে ছিল না। চলেও যায়নি।’ ‘তাহলে কী হলো তার?’ ইসাবেল খুব বিস্মিত হয়েছে। ‘সে একদিন মারা গেল।’ ‘ইশ্। শুনে সত্যি খুব দুঃখ পেলাম।’ ‘না, দুঃখ পাওয়ার তেমন কিছু নেই,’ বললাম আমি, ‘কারণ সে জানতেও পারেনি যে সে মারা গেছে।’