এলভিস কোল। লস অ্যাঞ্জেলেসের পোড়খাওয়া প্রাইভেট ডিটেক্টিভ। ভিয়েতনাম যুদ্ধ ফেরত সৈনিক। জো পাইক নামে একজন সঙ্গী আছে ওর।
নিখোঁজ স্বামী মর্টন এবং একমাত্র ছেলে পেরি ল্যাঙের হদিস বের করার অনুরোধ নিয়ে এসেছে এলেন ল্যাঙ। মামলাটা সহজ ঠেকলেও কাজে নামতেই দেখা গেল অনেক গভীরে ছড়িয়েছে রহস্যের শেকড়।
লাপাত্তা হয়ে গেছে মর্টের বান্ধবী কিম্বার্লি মার্শও। সন্দেহজনক কিছু লোক কড়া নজর রাখছে তার অ্যাপার্টমেন্টের দিকে। এদিকে কারা যেন লণ্ডভণ্ড করে রেখে গেছে এলেনের বাড়ি। কিছু একটা খুঁজছে কেউ। তার মানে, এলভিসের সন্দেহ, মামুলি অপহরণের ঘটনা এটা নয়।
জোর করে মাদক ব্যবসায়ী সাবেক ম্যাটাডোর দোমিঙ্গো গার্সিয়া দুরানের র্যাঞ্চে নিয়ে যাওয়া হলো এলভিসকে। দুই কেজি হেরোইন চুরি গেছে তার। দোমিঙ্গোর ধারণা, কাজটা ওর। তার সাফ কথা, মাদক ফেরত না দিলে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে পেরিকে।
ইতিমধ্যে মিলল মর্টের মৃত্যুর খবর। ওর উপর চাপ সৃষ্টি করতে এবার তুলে নেওয়া হলো এলেন ল্যাঙকেও। দ্রুত অবনতি ঘটছে অবস্থার।
খুন-খারাবি, মাদক ব্যবসা, প্রতারণা এবং ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে আছে চারদিকে। পুলিস কি দুর্বৃত্ত, সবাই যেন যুদ্ধে নেমেছে এলভিসের বিরুদ্ধে। এলভিস বেপরোয়া, যেভাবে হোক এলেন ও তার ছেলেকে উদ্ধার করবে। বন্ধু জো পাইককে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল ও মরণপণ অভিযানে।
এই উপন্যাসটি ১৯৮৮ সালে ‘সেরা পেপারব্যাক মৌলিক রচনা’ হিসাবে অ্যান্টনি পুরস্কার পায়।
সেরা উপন্যাস হিসাবে এডগার ও শামুস পুরস্কারের জন্যে মনোনীত।