ধুলো থেকে উঠে এসে ফের ধুলোয় মিশে যাওয়া— এইটুকু মাত্র জীবন? অনন্তের গর্ভে বিন্দুর বিন্দু এই প্রাণকণা, অমেয় কালপরিধির মধ্যে কয়েকটি মুহূর্তের শ্বাস... সত্যিই কি কোনও গভীর সার্থকতা আছে এই নশ্বর আয়োজনের? সংশয়দীর্ণ এই অমোঘ প্রশ্নে আলোড়িত ‘ধুলোখেলা’ উপন্যাস। এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজে বেড়ায় কৌতূহলী কিংশুক আর হতাশ তমাল, দু’জনে দু’রকমভাবে। ঈশান কোণ থেকে কুণ্ডলী পাকিয়ে উঠে আসছে এক বারুদগন্ধী সময়। কৃষিজমি-রক্ষা-আন্দোলনের ঝোড়ো ঘূর্ণিতে জড়িয়ে যায় কিংশুক। তমালকে টেনে নেয় লেখার টেবিল। চারপাশে আরও অনেক মুখের মিছিল। নৈঋতা-উন্মেষের দোদুল্যমান সম্পর্কে অভাবিত বাঁক-বদল, সত্তরোর্ধ্বা তরুলতার বিবর্ণ পৃথিবীতে ম্যাজিকের মতো নতুন রঙের উদ্ভাস, কিশোরী রাকা আর খেলুড়ে প্রেমিক জয়জিতের মধ্যে অবিরত টানাপোড়েন। প্রেমে-অপ্রেমে-হর্ষে-বিষাদে সবাই ভাসছে-ডুবছে সেই অতল এবং বহুবর্ণিল তরঙ্গমালায়— যার নাম জীবন। কিন্তু সেই চিরন্তন প্রশ্নটির সমাধান খুঁজে পেল কি কেউ? উত্তরবীজ বুকে নিয়ে এগিয়ে চলে এই আখ্যানধারা— যা কখনও তীব্র সংঘাতে উত্তাল, আবার কখনও পরম মমতায় মেদুর। ‘দেশ’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হওয়ার সময় থেকেই এই উপন্যাসের অন্তর্লীন দ্যোতনা গভীরভাবে স্পর্শ করেছে পাঠকসমাজকে।