গান্ধী কেবল ভারতবর্ষের পক্ষে ইতিহাস এক জাতীয় নায়ক মাত্র নন। তাঁর কাল্পনিক স্মৃতি বহু সহস্রাব্দ ধরে উজ্জ্বল থাকবে। তিনি বেকল সক্রিয় জীবনের সত্তামাত্র নন, যা ভারতভর্ষের জনগণের গৌরবময় একতা, তাদের শক্তি এবং তাদের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষার মধ্যে জীবন্ত হয়ে আছে। তিনি পশ্চিমের মানুষদের কাছে যিশুখ্রিস্টের বাণীকে নবীকরণ করেছেন- যে বাণীকে ভুলে যাওয়া হয়েছে অথবা যার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। তিনি তাঁর নামকে মানবতার জ্ঞানী ও ‘ঋষিদের মধ্যে’ ক্ষোদিত করে দিয়েছেন এবং তাঁর বিশিষ্ট চরিত্রর প্রভা বিশ্বের সকল ধর্মের মধ্যে প্রবিষ্ট হয়েছে।
গান্ধীজি রাজনৈতিক ইতিহাসে অনন্য। তিনি এক দমিত জাতির মুক্তির সংগ্রামের জন্য সম্পূর্ণ নতুন এবং মানবীয় প্রয়োগ কৌশল আবিষ্কার করেছেন এবং সেটিকে প্রচণ্ডতম শক্তি ও নিষ্ঠার সঙ্গে অনুসরণ করেছেন। সভ্য জগতের মধ্যে দিয়ে চিন্তাশীল মানুষদের উপর তিনি যে প্রভাব বিস্তার করেছেন তা পাশব শক্তির আতিশয্য পূর্ণ বর্তমান যুগে যতটা মনে হয় তার চেয়েও বেশি টেকসই। কারণ একজন রাজনীতিজ্ঞ ব্যক্তি তখনই স্থায়ী হয় যখন তিনি তাঁর ব্যক্তিগত দৃষ্ঠান্ত এবং শিক্ষণীয় প্রভাবের দ্বারা তাঁর জনগণের নৈতিক শক্তিকে জাগ্রত ও সংগঠিত করতে পারেন।