বৃদ্ধাশ্রমবাসিনী পৃথা একটা অদ্ভুত অভিশাপের গল্পে বিশ্বাস করেন। ওঁর পরিবারে প্রেমঘটিত বিবাহ মানেই নাকি বিপর্যয়, যেমনটা ওঁর জীবনে হয়েছে। তিনি সারাদিন ধরে উপমার জন্য সম্বন্ধ দেখেন। ওদিকে তাঁর আদরের নাতনি উপমা তার বয়ফ্রেন্ডকে বিয়ে করতে চায়। উপমার বাবা ভাস্কর মনে করেন যে তাঁরই ভুলের জন্যেই পৃথার স্বামী আদিত্য, বড় মেয়ে শ্রেয়ার অকালমৃত্যু হয়েছে। পৃথার সাইকিয়াট্রিস্ট অসীমবাবু ভয় পাচ্ছেন যে বাস্তবের সামনে দাঁড়ালে পৃথা পুরোপুরি উন্মাদ হয়ে যাবেন। ভাস্করের মেয়ে উপমা, খুব অল্পবয়েসে এক দুর্ঘটনায় মা-কে হারিয়েছে। উপমার মাসি দিয়া বস্টনে থাকেন, দাদুর বন্ধু ধীরাজ থাকেন মুম্বাইতে। উপমা চায় ওর বিয়ের সময় এই পালিয়ে যাওয়া মানুষগুলো যেন আবার কাছাকাছি আসে, পরস্পরকে ক্ষমা করে, শান্তির সন্ধান পায়, তাই ও লুকিয়ে বিয়ে করতে আগ্রহী নয়। কিন্তু কী সেই ঘটনা যা এতগুলো সুন্দর জীবনকে এলোমেলো করে দিল? পৃথা কি কোনওদিন সুস্থ হয়ে উঠবেন? উপমা কি পারবে অতীতকে মুছে ফেলতে?