শুভকর্মের প্রতীক একটি মাছকে ঘিরে পাণ্ডব গোয়েন্দারা যখন আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠেছে ঠিক তখনই হুগলির রাজবলহাট থেকে রেবাদি ফোনে জানালেন তাঁদের গৃহদেবতার অষ্টধাতুর বিষ্ণুমূর্তিটি চুরি হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে নিখোঁজ হয়েছে রেবাদির ভাই। পাণ্ডব গোয়েন্দারা মরিয়া হয়ে উঠল তদন্তের কাজে। ওদের সন্দেহের তীরটা গিয়ে বিঁধল গুরুদেব চন্দ্রকান্ত গিরির দিকে। কিন্তু সত্যিই কি তিনি অপরাধী? রেবাদির ভাইয়ের অন্তর্ধান রহস্যই বা কী? হঠাৎ কেন একটি সাদা রঙের গাড়ি ভোম্বলকে চাপা দিতে এল? কেন অপহরণ করা হল দিওতিমা নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কিশোরী কন্যাকে? এই কেনর উত্তর খুঁজতে গিয়েই অন্ধকারের জগৎ থেকে একে একে বেরিয়ে এলেন কালো দত্ত, অধর দত্ত, ট্যাংরা, বানটু ও মাধাই ঘোষের মতো অপরাধীরা। আর পাণ্ডব গোয়েন্দাদের অভিযান শুরু হল জয়চণ্ডী পাহাড় থেকে বিহারের কাকোলাতে। এখানকার জলপ্রপাতে ও গভীর জঙ্গলে পঞ্চুর ভীষণ মূর্তি সকলকেই ভয় পাইয়ে দেয়। পাণ্ডব গোয়েন্দারা এই পঞ্চবিংশতি অভিযানে অনেক বেশি দুর্বার। পাতায় পাতায় শিহরন, উত্তেজনা, ঘটনার ঘনঘটা।