গাছের সঙ্গে মানুষের গভীর ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল সুদূর অতীতে। কিন্তু সভ্যতার আগ্রাসন একদিন ছিন্ন করে দিল সেই আত্মিক বন্ধন। তবু সেই শাশ্বত ভালোবাসা কি সত্যিই নিঃশেষ হয়ে গেছে? এই উপন্যাসে তারই মরমী অন্বেষণ।
চকিতে দেখা গিয়েছিল তাকে । পাতাপাহাড়ীর বনে, ছোট্ট জলাশয় আলবেলি ঝাপটা-র ধারে । একটি প্রাচীন শিমুল গাছের কাছাকাছি । সে কি বনের মানুষ ? না কি বনদেবতা ! রেঞ্জার মেঘনাদ ঘোষাল, আশ্চর্য মানুষ চুনিলাল সাউ, রণছোড়জি আর নীলু সেই মানুষের মতো প্রাণীটির সন্ধানে এসে আবিষ্কার করে শিমুল গাছটাকে নিঁখুতভাবে কেটে নিয়ে গেছে কেউ। কে কাটল ? চোরা শিকারীরা ! অথবা জঙ্গলের ইজারাদার ভূষণ চৌধারির মেয়ে যুবতী রংমতি কি ! রহস্যের মেঘে বনের আলো যখন মুছে যাওয়ার মুখে ঠিক তখনই বনদেবতার স্বরূপ উন্মোচিত হল এক মহাজাগতিক নীল জ্যোতির ঝলকে। সে ভবঘুরে ভোলানাথ। বৃক্ষহত্যার ব্যথাতুর উত্সবে সে অন্য বাণী নিয়ে এসেছে : গাছ তুমি আবার বাঁচো। অরণ্যদ্বেষী ও অরণ্যপ্রেমীদের নিয়ে এক আশ্চর্য কাহিনী নীললোহিতের কুশলী কলমে।