চিলির লেখক আন্তনিও স্কারমেতার এ উপন্যাসের স্পেনীয় ভাষায় মূল নাম আরদিয়েন্তে পাসিয়েন্সিয়া, বাংলায় যার অর্থ ‘প্রদীপ্ত সহিষ্ণুতা’। কবি পাবলো নেরুদার জীবনের অন্তিম পর্ব নিয়ে রচিত এ উপন্যাসের কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত ইল পস্তিনো চলচ্চিত্রটি একাডেমি পুরস্কারেই শুধু ভূষিত হয়নি, বিশ্বব্যাপী অজস্র দর্শককে বিস্ময়বিমুগ্ধ করেছে। উপন্যাসটিও এ পর্যন্ত তিরিশটির মতো ভাষায় অনূদিত হয়েছে। এ উপন্যাসের কাহিনি নিয়ে তৈরি হয়েছে অপেরাও। উপন্যাসটির বিষয় নেরুদার জীবন হলেও, এর কাহিনি আবর্তিত হয়েছে মারিও হিমেনেজ নামক একজন পোস্টম্যান বা ডাকপিয়নকে ঘিরে। চলচ্চিত্রে অবশ্য সে-ই নায়ক, এমনকি উপন্যাসেও তাকেই কেন্দ্রীয় চরিত্র বলে মনে হয়, নেরুদার কবিতার সঙ্গে পরিচয় যে তরুণকে সাধারণ থেকে অসাধারণে পরিণত করে। একদিকে যেমন সে প্রেয়সীর শরীর আবিষ্কারের মতো নেশায় কবিতার উপমা আবিষ্কার করতে থাকে, অন্যদিকে তেমনি কবিতার দীপ্যমান আলোয় পরিপার্শ্বকে চিনতে, আপন সামাজিক অবস্থান বুঝতে এবং শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শেখে। পিনোশের জান্তা সরকারের ক্ষমতা দখল-পরবর্তী দিনগুলোর বর্ণনায় স্বৈরশাসনের ভয়াবহতার দিকটিও এ উপন্যাসে আশ্চর্য নিপুণতায় তুলে ধরেছেন লেখক।