আইজাক আসিমভ-এর লেখা ‘ওয়ার্ডস অব সাইন্স বইটি প্রকাশ পাওয়ার প্রথম বছরেই প্রকাশককে তিনবার বিশাল আকারের পুনর্মুদ্রণ করতে হয়েছিল। ঐ বইতে আইজাক আসিমভ বর্ণনা করেছিলেন বিজ্ঞানের কয়েকশত শব্দের হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস ও উৎপত্তি। ওয়ার্ডস ফ্রম দ্য মিথস' গ্রন্থে তিনি গ্রিক পৌরাণিক কাহিনীগুলােকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করে উদ্ঘাটন করেছেন আমাদের ভাষার মধ্যে প্রবেশ করা শত শত শব্দের উৎস, যার ফলাফল নিঃসন্দেহে পাঠককে মুগ্ধ করবে। এই প্রাচীন লােককাহিনীগুলাে সবসময় আমাদের সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে টিকে রয়েছে। তবে যারা গ্রিক পুরাণ পাঠ করেছেন তারাও আইজাক আসিমভ-এর লেখা পড়ে বিস্মিত হবেন এটা দেখে যে, তাঁর লেখার মাধ্যমে গল্পগুলাে ও তাদের মধ্য থেকে আসা শব্দগুলাে কিভাবে নতুন অর্থ ও গভীরতা লাভ করেছে। ‘পুরাণের কথা' (ওয়ার্ডস ফ্রম দ্য মিথস) প্রতিদিন সকালে আমাদের সেরিয়াল খাওয়ার সময় থেকে শুরু করে রাত্রে নিদ্রাদেবী মরফিউসের কোলে ঢলে পড়ার সময় পর্যন্ত আমাদেরকে চারপাশ থেকে ঘিরে রাখে, আমরা বিমর্ষ থাকি কিংবা হর্ষোৎফুল্ল থাকি, সাইরেনের আওয়াজ শুনি কিংবা সঙ্গীতের মিষ্টিমধুর সুর শুনি, যে কোনাে অবস্থাতেই। এই শব্দাবলি বিশেষভাবে বৈজ্ঞানিক শব্দভাণ্ডারের জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে জ্যোতির্বিজ্ঞানের জন্যে। আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রের নাম যে অ্যাটলাস ও টাইটান হয়েছে সেটা নির্বিঘ্নে ঘটেনি।