আঠারো বছর বয়সে চল্লিশ বছরের এক বিপত্নীকের সঙ্গে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন সাবিত্রী। নিঃসন্তান জেদি মহিলা; যে বিপুল বিত্ত তিনি সঞ্চয় করেছেন, তারই জন্য কি তাঁর প্রাণ আজ বিপন্ন? উত্তর খোঁজার ভার নিয়েছেন ভাদুড়িমশাই, রহস্যের জাল ছিড়তে যাঁর জুড়ি নেই। মাধবানন্দ মিত্রের বয়স ষাট। দেরাদুনে তিনি নাকি বারবার আক্রান্ত হচ্ছেন। ভাদুড়িমশাইকে অগত্যা দেরাদুনে যেতেই হয়। সেখানে গিয়ে শোনেন, বিপদ একা মাধবানন্দের নয়, তাঁর তরুণী ভার্যা সাবিত্রীরও। এরই মধ্যে সাবিত্রীর উপরে নাকি তিন-তিনবার হামলা হয়েছে। দু’বার স্কুটারের ধাক্কা, একবার ইলেকট্রিক শক। বাড়ির ডাক্তার মেজর গুপ্ত ভাদুড়িমশাইয়ের পরিচিত। তাঁর কাছে জানা যায় যে, মাধবানন্দের দেনার পরিমাণ অল্প নয়, এবং সাবিত্রীর মৃত্যু হলে তবেই বিপুল সম্পত্তি মাধবানন্দের হাতে আসবে। এ-দিকে প্রশ্ন ঘনিয়েছে দুটি বাগান নিয়েও। যার মধ্যে আছে পুরনো দুটি শিবমন্দির। সদানন্দবাবুর উপরে কারা ছুরি চালাল, সেও এক প্রশ্ন। সব মিলিয়ে রহস্য একেবারে জমজমাট।