রবীন্দ্রনাথ একবার যখন বিলেতে, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর এক দল তখন তাঁর হাতে এক ছাপানো প্রশ্নমালা দিয়েছিল উত্তর প্রার্থনা করে। এর একটি প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়, কবির সর্বোত্তম গুণ কি? অপর একটিতে জিজ্ঞাসা করা হয় তাঁর সর্বাধিক দোষ কি? একটিমাত্র শব্দে দু'টি প্রশ্নেরই উত্তর দিয়েছিলেন inconsistency-অসঙ্গতি। রবীন্দ্রনাথ : মনে হয়, কথাটা শুধু কৌতুক করে বলা নয়। আশি বছরের দীর্ঘ জীবন যিনি যাপন করেছেন- যে জীবন সৃষ্টিশীলতায় অনন্য, অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ, ঘাত প্রতিঘাতে চঞ্চল- সেই দীর্ঘ জীবনের পূর্বাপর সঙ্গতি বজায় রাখা কি সম্ভবপর, না সঙ্গত? বারে বারে তাই নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে জীবনে ও সৃষ্টিতে। আর-দশজন মানুষের মতো রবীন্দ্রনাথের মধ্যেও যে সুবিধার মুখ চেয়ে কিছু কিছু আপোসরফার প্রবৃত্তি ছিল, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। তাঁর মেয়েদের বিয়ের ঘটনা এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। হিন্দুবিবাহ সম্পর্কে চন্দ্রনাথ বসুর সঙ্গে তাঁর দীর্ঘকালব্যাপী মতবিরোধের কথা সকলেই জানেন। রবীন্দ্রনাথ অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেবার বিরোধী, তাদেরকে শিক্ষাদানে আগ্রহশীল, বরপণ দেবার বিপক্ষে। অথচ নিজের মেয়েদের কখনো স্কুলে পাঠালেন না তিনি, ছর