ভালােবাসা ও বেদনাভরা চারটি উপন্যাস একসঙ্গে। এমন ব্যথিত-হৃদয় মানুষ আর কী আছে? এমন বেদনাতুর কবি। ঝরা পালকের ছবি যিনি আঁকতেন? বনলতা সেনই বা কে? যিনি জীবনানন্দ দাশকে শান্তি দিয়েছিলেন দুদণ্ড? আবার আছেন শান্তি নামের এক সেবিকা, যিনি কিনা শেষ শয্যায় পাশে ছিলেন জীবনানন্দ দাশের। এতদিন কোথায় ছিলেন এক অপূর্ব উপন্যাস, যেখানে খোঁজা হচ্ছে বনলতা সেনকে। মায়া এক নারীর গল্প। ১৯৭১-এর যুদ্ধশিশুদের মধ্যে যারা বিদেশে চলে গিয়েছিল দত্তক হিসেবে, তাদেরই একজন। আর আছে এক বাঙালি প্রেমিক। নিজেকে খুঁজে ফেরার আরেক গল্প হলাে মায়া। এই গল্প আপনাকে না-পাওয়া ভালােবাসার বেদনায় আপ্লুত করবে। পাই বা নাহি পাই এক নারীর হাহাকারের গল্প। যে কিনা অপেক্ষা করে তার প্রবাসী স্বামীর জন্য। বিনিময়ে কী সে পায়? বাংলা সাহিত্যে এক ব্যতিক্রমী সংযােজন সুদূরতমা। এত আলতাে, এত নরম এর ভাষা, এর নিসর্গ, এর পটভূমি যে মনে হবে পুরােটাই একটা মধুর বেদনাময় দীর্ঘশ্বাস যেন। প্রেমেরই গল্প। সম্পর্কের। কিন্তু স্মৃতিকাতরায় মেদুর।