ভাষা যেমন আমাদের আন্তরিক আদান-প্রদান এবং শিল্পসাহিত্যের মাধ্যম, তেমনই জ্ঞানচর্চা ও মৌলিক উদ্ভাবনের উপায়ও বটে। সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তি এগিয়ে এসেছে কাগজ, কলম, মুদ্রণযন্ত্র, গ্রন্থশিল্প থেকে শুরু করে গ্রামোফোন, টেপ রেকর্ডার, রেডিয়ো, টিভি ইত্যাদি ভাষা ও লিপিসংক্রান্ত উপযোগ নির্মাণে। তারপর ভাষা নিজেই ব্যবহৃত হয়েছে প্রযুক্তির মতো, বিশেষ করে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং-এর ভাষা আবিষ্কারের পর। সফটওয়ার নামে এই প্রযুক্তির সাহায্যে নির্মাণ করা হয়েছে আরও নানা ভাষা-প্রকৌশল, যেমন কম্পিউটার অভিধান, যান্ত্রিক বানানপরীক্ষা, স্বয়ংক্রিয় অনুবাদ বা যান্ত্রিক লিপিশনাক্তির উপায়। কম্পিউটার দিয়ে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে ভাষাতত্ত্বের নতুন নতুন সূত্র এবং তথ্যও। বর্তমানে ভাষাপ্রযুক্তি ও প্রক্রিয়াকরণের চর্চা শিক্ষাজগতে একটি মূল্যবান বিষয়। এই বিষয়ে কয়েকটি নিবন্ধ নিয়ে প্রকাশিত হল বিদ্যুৎবরণ চৌধুরীর ‘ভাষাপ্রযুক্তির কয়েকটি’। বিশিষ্ট গবেষকের এই গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে একটি সময়োপযোগী, জরুরি প্রকাশ।