কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণ করার সময়টা মানুয়ের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ। এ-সময় মনে রং লাগে আর সেই রঙের ঝলকে নিজের ইচ্ছে পূরণ করতে গিয়ে ছেলে-মেয়েরা বাবা-মায়ের মন ভাঙে। তাদের ভালো পদক্ষেপগুলোকে মনে হয় বাধা, ওরা সেই বাধাগুলো পেরিয়ে ইচ্ছেটাকে ছুঁয়ে দেখতে চায়। দিনে দিনে ওদের দুষ্টমির মাত্রা বেড়ে অতিষ্ট হয় বাবা-মা, শিক্ষকসহ পাড়া-প্রতিবেশী। স্কুল থেকে কলেজে পা বাড়ালে ওদের আলাদা করে বাবা-মা; কিন্তু ওরা প্রতিদিনই মিলিত হয় একটি নির্দিষ্ট জায়গায়। ওদের দুরন্তপনা ছোট্ট ছোট্ট ভুল-ত্রুটি নিয়ে ভালোই চলছিল। হঠাৎই ওদের প্রত্যেকের মনে আলাদা আলাদা পরিবর্তন আসে। নিজেদের ভালোবাসাগুলোকে আঁকড়ে ধরতে গিয়ে বন্ধুত্বের বাঁধন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সৃষ্টি হয় নতুন বন্ধু । ভালোবাসা, ভালোলাগা, প্রেম- এসবের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে ব্যর্থ হয়ে ওরা বুঝতে পারে না, জীবনের জন্য ভালোবাসা, ভালোবাসার জন্য জীবন নয়। ক্ষণিকের ভালােলাগার মোহে ওরা হয়ে ওঠে বিপদগামী। ছোট্ট মনের ছোট্ট ঘরে তখন মেঘের ঘনঘটা রূপ নেয়। শ্রাবণের বারিধারায়। জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতা ও ভয়ঙ্কর পথ পাড়ি দিয়ে ওরা কি ফিরে আসতে পারবে? তবুও কথা থাকে, কারণ এমনি করে স্বপ্নের সিড়ি বেয়ে হয়তো কোনোদিন আরও অনেকে বসবে শরতের আবেশ মাখা জোছনা রাতে। মেঘ চাদকে আদর করে ছুঁয়ে যাবে ক্ষণে ক্ষণে; কিন্তু যে মন হারিয়ে গেছে। অবেলায় তারাও কি ফিরে আসবে আবারও কোনো শীতের উষ্ণতায়।