ধর্মকে জয় করা যায়, জাতপাতকে অগ্রাহ্য করা যায়, সংস্কারকে কাটিয়ে ওঠা সম্ভবপর, কিন্তু মানুষের মনের মধ্যে যে-জটিলতা মানুষের নিজেরই তৈরি, তা দূর করা কি সহজ? জাতপাত ও ধর্মান্ধতাজয়ী এই আশ্চর্য প্রেমের উপন্যাসে এ-প্রশ্নটিকেই নেড়েচেড়ে দেখা। মুখ্যত যে দু’জনকে কেন্দ্র করে হর্ষ দত্তর সম্পন্ন ও সংবেদনশীল কলমের এই উপন্যাস, তার একজন মার্গারিট, অন্যজন সৌম্যেন। সৌম্যেন কবিতা লেখে, নিজের কবিতার বই উপহার দেবার সূত্রেই মার্গারিটের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা। ঘনিষ্ঠতা থেকে প্রেম। প্রেম থেকে বিবাহ। বিবাহ থেকে আলাদা সংসার। আলাদা, কেননা, সৌম্যেনের মা সংস্কার কাটিয়ে মন থেকে মেনে নিতে পারেননি অন্য ধর্মের পুত্রবধূকে। সৌম্যেন পরোয়া করেনি, মার্গারিটও জানত, পরিবেশ-সমাজ-ধর্ম-সংস্কৃতি এসবগুলো আজ আর কোনও বাধা নয়। যেটুকু রয়েছে, তাও রোজ ভাঙছে। তবু বাধা এল। বাইরের নয়, ভিতরের এক অদ্ভুত বাধা। সংসারটা যখন প্রায় দু’টুকরো, তখন অবশ্য জয়ী হল অন্য এক শক্তি। কীভাবে, তারই কথা এই মরমী উপন্যাসে।