মুক্তির জন্য যে যুদ্ধ তা-ই মুক্তিযুদ্ধ। আর স্বাধীনতার জন্য যে যুদ্ধ তা স্বাধীনতা যুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতা যুদ্ধ আমরা যা-ই বলি না কেন, দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য ১৯৭১ সালে এদেশে সংগঠিত হয় এক মরণপণ মুক্তিযুদ্ধ। পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠীর অন্যায় আর অবিচারের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষ জীবনপণ সংগ্রাম শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কেউ ঘরে বসে থাকেনি। কিছু বিপথগামী মানুষ ছাড়া এদেশের কৃষক-শ্রমিক, ছাত্র-শিক্ষক, ইপিআর, আনসার সকল শ্রেণিপেশার মানুষই জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। তাই বাংলাদেশ আমাদের মা। আমাদের জননী ও জন্মভূমি। এই মা-জননীর ডাকে। সাড়া দিতে গিয়ে সেদিন শাহাদাত বরণ করেন প্রায়। ত্রিশলক্ষ মানুষ। সম্ভ্রমহানির শিকার হন প্রায় দু-লক্ষ মা-বােন। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে সে বছরই ১৬ ডিসেম্বর তারিখে বাংলাদেশ চূড়ান্ত বিজয় লাভ করে। বুকের রক্ত ঢেলে আমরা অর্জন করেছি সবুজের বুকে। লাল বৃত্ত আঁকা একটি স্বাধীন পতাকা ও একটি স্বাধীন দেশ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সেই গৌরবােজ্জ্বল। পটভূমি নিয়ে রচিত জসীম আল ফাহিমের কিশাের উপন্যাস : মা ও মুক্তিযুদ্ধ। বইটি সকল পাঠককে প্রাণিত করুক এই আমাদের প্রত্যাশা।