হঠাৎ একদিন পুলিশ জানাল, প্রতিমা চৌধুরীর মৃত্যুর ঘটনারআবার তদন্ত হবে। পুলিশ কি সন্দেহ করছে, এটা আসলে একটা হত্যাকাণ্ড ছিল? স্বামী অমরনাথ আবার বিয়ে করেছেন। ছেলেমেয়ের থেকে আলাদা হননি, কিন্তু বাড়ি বদলে তৈরি করেছেন দূরত্ব। ছেলে অঙ্কুর মন দিয়ে চাকরি করেও খানিকটা এলোমেলো, খানিকটা উদাসীন। বয়সে বড় আশাবরীর কাছে ছুটে যায় বারবার। সে নিজেও জানেনা এটাই কি প্রেম? কলেজ-পড়ুয়া মেয়ে দিব্যাঙ্গনার ভিতরে বাস করে আর-একটা দিব্যাঙ্গনা। শান্ত দিব্যাঙ্গনাকে সে ক্রমাগত প্রশ্ন করে। কলেজের এক অধ্যাপককে ভালবাসে দিব্যাঙ্গনা, যে ভালবাসা গোপন এবং একতরফা। দিব্যাঙ্গনার চঞ্চল বান্ধবী তিয়াশা মুখোশপরা এই সমাজকে ঘেন্না করে এবং বিশ্বাস করে মুক্তি বা স্বাধীনতা বাস করে নিজের খুশিমতো বেঁচে থাকার মধ্যেই। ‘মুক্তআবরণে’ উপন্যাসে প্রতিমা চৌধুরীর মৃত্যুরহস্য নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন ইনস্পেক্টর বিসাহা। তদন্ত প্রক্রিয়া কখনও হালকা, কখনও আবার কঠিন। এদিকে অফিসের মালিক দিবাকর অঙ্কুরকে নিজের উন্মাদ মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিতে চান। তৈরি হয় নতুন জটিলতা। ধাপে ধাপে এই কাহিনি মুক্ত করতে থাকে সব আবরণ। জীবন আর রহস্য হাত ধরে চলে।