পেশা ও গবেষণায় আত্ম নিবেদিত অধ্যাপক সুব্রত মল্লিক নিজের সংসার সম্পর্কে উদাসীন। অধ্যাপক হিসেবে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে গেছে দেশের বাইরেও। কিন্তু গবেষণা ও অধ্যাপনা ছাড়া আর কোনও বিষয়ে তাঁর উৎসাহ নেই। এই দুঃসহ অবস্থায় তাঁর স্ত্রী অদিতি বিবাহবিচ্ছেদ ঘটাল তিতিবিরক্ত হয়ে। দুটি নাবালক ছেলেকে নিয়ে সুব্রত এরপর বাধ্য হলেন সংসারের দিকে তাকাতে। কিন্তু ততক্ষণে সব এলোমেলো হয়ে গেছে। দুই ছেলে ভাসতে ভাসতে সাবালক হয়ে উঠল ঠিকই কিন্তু বাবার সঙ্গে তাদের দূরত্ব বেড়ে গেল। ছেলেরা এখন দুটি রাজনৈতিক দলের কর্মী। হঠাৎই সুব্রতর ছোটছেলে শুভ খুন হল। রাজনৈতিক খুন। সন্দেহের তির দাদা জয়ব্রতর দিকে। খুনের মুহূর্তে জয়ব্রতও ছিল। এই অবস্থায় জয়কে বাঁচানোর জন্য সুব্রত নানাভাবে চেষ্টা শুরু করলেন। কিন্তু কেমন ভাবে বাঁচাবেন। সবুজের পূজারি সুব্রত দেখছেন, অন্ধহিংসায় পরিপার্শ্বের সমস্ত সবুজ পুড়িয়ে দিচ্ছে একদল মানুষ। সেই আগুনে দগ্ধ হচ্ছে সভ্যতা সংস্কৃতি এবং মনুষ্যত্ব। হেরে যেতে যেতে সুব্রত ভাবেন যবনিকাহীন এই দাহ কবে থামবে! এর কি কোনও শেষ নেই?এক আশ্চর্য দম্পতির গল্প ‘দত্তক’। অজিত আর বন্দনা। পরস্পরের প্রতি তারা গভীর প্রেমে আসক্ত। আবার তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে মতান্তরের শেষ নেই। অজিত আর বন্দনার পঁচিশ বছরের বিবাহিত জীবনে একটাই বিষাদ। তারা নিঃসন্তান। অনেক ভেবেচিন্তে তারা ঠিক করল, একজন কাউকে দত্তক নেবে। কিন্তু কাকে? বন্দনা চায় পুত্রসন্তান দত্তক নিতে। অজিতের পছন্দ কন্যাসন্তান। জেদ করে দুজনেই কাগজে বিজ্ঞাপন দেয়। দলে দলে লোক আসতে থাকে ছেলে অথবা মেয়ে নিয়ে। শেষ পর্যন্ত কার জেদ বজায় থাকল? আদ্যন্ত কৌতুকের কলমে লেখা এক মিষ্টিমধুর কাহিনী।