আকাশে ছিল জ্যোৎস্নার মাদকতা, মস্তিষ্কে রামের নেশা। নেশার ঝোঁকে একজন পুরুষ তাঁর তরুণী, তন্বী বন্ধুপত্নীকে কাছে টেনে নিতে চেয়েছিলেন একদিন। কান্নার তীব্র নিষেধে তাঁকে নিবৃত্ত করেন বন্ধুপত্নী। বৃষ্টি-মেশা নদীতে নেমে এক নারী বিস্মৃত হয়েছিলেন তাঁর তাৎক্ষণিক পরিচয়, তাঁর দুই সন্তান ও স্বামীকে, চিরকালের এক নারী জেগে উঠেছিল তাঁর মধ্যে। তাঁরই স্বামীর বন্ধু হয়ে উঠেছিল সেই নেশা-ধরানো মুহূর্তের প্রার্থিত পুরুষ। বন্ধুপত্নীকে সেদিন ফিরিয়ে দেন স্বামীর বন্ধুটি। দুজনে দুজনকে না বলেছিলেন এটা বেশি বড় সত্যি, নাকি দুজনে দুজনকে যে চেয়েছিলেন—সেটা ? কোন্টা বেশি জোরালো? এই-যে শরীরী সম্পর্কহীন সম্পর্ক, এ থেকেও কি জন্ম নিতে পারে কোনও সন্তান? দুজন নারী-পুরুষের চরম অতৃপ্তির ফসল—এই বোঝাই কি সারা জীবন বইতে হবে সেই সন্তানকে? এমনই বহু বিচিত্র প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের এই তীব্র কৌতূহলকর উপন্যাস, ‘রাকা’।