কুমারী কুন্তীর গর্ভে এসেছিলেন কর্ণ, মা মেরীর কুমারী গর্ভে যীশু। একটি ঘটনা মহাভারতের ভিত্তি, একটিতে এক ধর্মের সৃষ্টি। আর, এ-যুগের এক কুমারী মা যখন গর্ভে ধরেন এক শিশুকে, তখন? এমনই এক ঘটনার অনুসরণ এই সাহসী উপন্যাসে। রানুর কুমারী গর্ভে নিজের সন্তানের বীজ রেখে উধাও হয়ে গেল জয়দীপ। বাঁকুড়ার এক অজ পাড়া গাঁ থেকে উল্কার মতো রানুর জীবনে আবির্ভূত হয়েছিল জয়দীপ, উল্কার মতোই উধাও হয়ে গেল। দু’দিনের জন্য গেল কলকাতায়, কথা ছিল ফিরে এসেই সব দায় কাঁধে তুলে নেবে, ফিরল না। এখন কী করবে রানু? সে তো কোনও পাপ করেনি, ভালবাসার আগুনে নিজের সর্বস্ব ঢেলে দিয়ে শুদ্ধ হতে চেয়েছিল, তার বদলে শরীরে ক্রমশ ফুটে উঠছে মাতৃত্বের চিহ্ন। রানু জানে, সমাজে এর স্বীকৃতি নেই, বরং আছে ধিক্কৃতি, তবু এ-চিহ্নের অকালবিনাশও কাম্য নয় তার। তা হলে? এক সামাজিক সমস্যাকে বিরল সহানুভূতির দৃষ্টিতে নেড়েচেড়ে দেখেছেন তরুণ কথাকার তাঁর এই প্রথম উপন্যাসে।