আমার সুযােগ হয়েছে ড. রেমন্ড মুডি রচিত 'লাইফ আফটার লাইফ (জীবনের পর জীবন) প্রকাশিত হওয়ার পূর্বে গ্রন্থটি পাঠ করার এবং আমি আনন্দিত যে তরুণ পণ্ডিত সাহসিকতার সঙ্গে এ ধরনের নতুন একটি গবেষণাকে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরেছেন। আমি যেহেতু বিগত দুই দশক যাবৎ মৃত্যুপথযাত্রী অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিত্সা সেবা দিয়ে যাচ্ছি, আমার পক্ষে মৃত্যুকে কাছে থেকে দেখার সুযােগ হয়েছে। মৃত্যুর প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমরা অনেক কিছু জানার সুযােগ পেয়েছি, কিন্তু মৃত্যুর মুহূর্ত এবং যখন আমাদের রােগীদের মৃত বলে ঘােষণা করা নিয়ে এখনও অনেক প্রশ্ন রয়ে গেছে। ড, মুডি যে গবেষণা করেছেন তা এই অমীমাংসিত প্রশ্ন সম্পর্কে চিন্তাশীল মানুষকে আলােকিত করবে এবং মৃত্যুর পর আরেকটি জীবন রয়েছে বলে আমরা দুই হাজার বছর যাবৎ যা শিখিয়ে আসছি তা নিশ্চিত করবে। যদিও তিনি এমন দাবি করেননি যে তিনি মৃত্যু নিয়ে কাজ করেছেন, কিন্তু তার গবেষণার ফল থেকে এটা স্পষ্ট যে, কোনাে মরণাপন্ন রােগীকে তাত্ত্বিকভাবে অর্থাৎ ক্লিনিক্যালি মৃত ঘােষণার পরও পারিপার্শ্বিক অবস্থা সম্পর্কে তার মাঝে এক ধরনের সচেতনতা কাজ করে। এ সম্পর্কে আমার নিজস্ব গবেষণার ফলাফলও অভিন্ন যে অনেক ক্ষেত্রে আমরা কোনাে রােগীকে বাঁচিয়ে তুলার সকল আশা ত্যাগ করার পর রােগী জীবিত হয়ে উঠেছেন, এবং এ ধরনের ঘটনাকে অলৌকিক বলে স্বীকার না করলেও অত্যাধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের সূক্ষতায় দক্ষ চিকিৎসাবিদদেরকেও বিস্মিত করেছে।