আলেক্স আলীম নিজের সময়কে ছন্দে তুলে আনেন এক অনায়াস দক্ষতায়। সমকালীন দেশ ও সমাজচিত্রের প্রতিচ্ছবি তাঁর ছড়ায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে উঠে আসে। স্বভাবকবির মতোই সহজ আর সরল ভাষায় তাঁর ভাবনার বহিপ্রকাশ ঘটে। আর এই ভাবনার সঙ্গে এদেশের শোষণ, বঞ্চনাপীড়িত মানুষের স্বপ্নের মিল খুঁজে পাই । কূপমণ্ডূকতা, সাম্প্রদায়িকতামুক্ত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রত্যাশায় বাঙালির যে সংগ্রাম, যে বাণী সে বুকের ভেতর ধারণ করে রেখেছে শত বছর ধরে, তারই অনুরণন ঘটে আলেক্স আলীমের ছড়ার প্রতিটি পংক্তিতে। নিজে প্রগতিশীল আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী। ছাত্র অবস্থায় তিনি ছিলেন তুখোড় ছাত্র নেতা । সামরিক শাসন ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে সামনের সারিতে ছিলেন। সারাদিন রাজপথে গলা ফাটিয়ে স্লোগান দিতেন আর রাতে সেইসব স্লোগানই যেন ছড়া হয়ে বেরিয়ে আসতো তাঁর কলম দিয়ে। এভাবেই সময় গড়িয়ে গেছে বহুদূর। ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়েছে নানা পালাবদলের কাহিনী। সেদিনের ছাত্রনেতা আলেক্স আলীমও এখন সরকারি মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক। ছাত্র থেকে শিক্ষক। এইটুকু ছাড়া একটুও পাল্টাননি তিনি। লিখেই যাচ্ছেন। তাঁর সাহসী ছান্দিক উচ্চারণগুলো যেন আমাদের সংগ্রাম আর ইতিহাসেরই এক অনন্য ধারাবর্ণনা।