বৈজ্ঞানিক গবেষণা করতে গিয়ে ছোটো একটা ভুল করে ফেলে তরুন বিজ্ঞানী এজরা। ছোটো সেই ভুলের ফলাফল ধ্বংসাত্মক হয়ে দেখা দেয় মানবসভ্যতার জন্য। খালি চোখে দেখা যায় না, এরকম এক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র রোবটিক মেশিন ন্যানোবট দুর্ঘটনাবশত বায়ুরুদ্ধ গবেষণাগার থেকে বেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ে বায়ুমÐলে। কার্বন ডাই অক্সইডের সংস্পর্শে এসে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাড়তে থাকে সংখ্যায়। ছড়িয়ে যায় মহাদেশের পর মহাদেশে। বিকল হয়ে যায় সমস্ত বৈদ্যুতিক যন্ত্র, বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সব রকমের সংযোগ। সবচেয়ে ভয়াবহ পরিণাম ঘটে মানবদেহে।
মস্তিষ্কেরক্ষতির কারণে মানুষ হারিয়ে ফেলে বুদ্ধিমত্তা, স্মৃতি। শরীর বেঁকেচুরে এক কিম্ভুতকিমাকার জন্তুতে রূপান্তরিত হয়। সেইসাথে মাংসাশী আর হিংস্র হয়ে ওঠে। সামান্য যে কজন মানুষ টিকে থাকে এই বিপর্যয়ের হাত থেকে, তাদের সামনে পড়ে থাকে টিকে থাকার জন্য এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। পরিবার, পরিজন হারানো ক্লেয়ার আর ডোরানের হাতে ঘটনাক্রমে এসে পড়ে একটা কোড, যা পারে পৃথিবীকে রক্ষা করতে। মেশিনগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে দিয়ে মানবজাতিকে রক্ষা করতে পারে এই কোড। দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে ক্লেয়ারকে এই কোড পৌঁছে দিতে হবে সুদূর ইভানডেল শহরে অবস্থিত একটা রিসার্চ সেন্টারে। পথে রয়েছে মৃত্যুঝুঁকি। এ এক বিচিত্র লড়াই। মানবিকতার সাথে পৈশাচিকতার, আবেগের সাথে যুক্তির, স্বার্থের সাথে ত্যাগের এক নিষ্ঠুর লড়াই। প্রেম, বন্ধুত্ব, রহস্যে ভরা এক টান টান উত্তেজনায় ভরা উপন্যাস “সিক্রেটস ইন দ্য ডার্ক” ডার্সি কোটসের “বø্যাক উইন্টার” সিরিজের দ্বিতীয় খণ্ড।