নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ব্যাপকভাবে নির্যাতন শুরু করে। হত্যা, ধর্ষণ, শারীরিক নির্যাতন, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজসহ এদেশের মানুষের ওপর তারা সব ধরনের নির্যাতন করে। হত্যা বা ধর্ষণ নিয়ে অধিক আলোচনা হয়। কিন্তু জাতীয় জীবনে সব ধরনের নির্যাতনের প্রভাব লক্ষ করা যায়। পাকিস্তান আর্মির উদ্দেশ্য ছিল নির্যাতনের মাধ্যমে একটি জনগোষ্ঠীকে দাবিয়ে রাখা। অতএব এ নির্যাতন উদ্দেশ্যমূলকভাবেই ছিল বহুমাত্রিক। এর ফলে নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর জীবন, সমাজ, অর্থনীতি, পরিবারসহ সকল পরিসরে আঘাত পড়ে। সমাজের সব অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই সামগ্রিকতার চিত্রটি ১৯৭১ গণনির্যাতন-গণহত্যা কাঠামো, বিবরণ ও পরিসর গ্রন্থে উপস্থিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার বিভিন্ন শ্রেণিগোষ্ঠীর মানুষের প্রতিনিধিত্বমূলক বয়ান এখানে স্থান পেয়েছে। লক্ষণীয় এই নির্যাতন করেও পাকিস্তান বাংলাদেশকে দখল করে রাখতে পারেনি।