২০১১ সালের দিকে ক্যামব্রিয়ান-কালেরকণ্ঠ এবং ২০১৫ সালে অনলাইন এউজপোর্টাল দ্য রিপোর্ট-এর শিক্ষাপাতায় ১ মিনিটে ইংরেজি নামে এই Mini lesson-গুলো প্রকাশিত হয়। লেখাগুলো পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করে এবং পুস্তক আকারে ছাপানোর অনুরোধ আসে পাঠকদের কাছ থেকে। লেখকের পক্ষ থেকে পাঠকদের দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতেই এই প্রকাশনা। আরও আগেই প্রত্যাশিত হলেও নানা কারণে প্রকাশনা বিলম্বিত হওয়ায় পাঠকদের কাছে ক্ষমা চাইছি। বিষয়বস্তু মৌলিক নয়, গতানুগতিক। তবে আঙ্গিক ও পরিবেশনা নিঃসন্দেহে ভিন্নতর। বিশেষভাবে ১ থেকে ১০ পর্যন্ত lesson-গুলোতে দেখানো হয়েছে বাংলাদেশে বহুল অপপ্রয়াগে হয়ে থাকে এমন English words/ Expression-গুলো যা গ্রামের সহজ সরল স্বল্প বা অশিক্ষিত কৃষক থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষিত শহুরে আমলা, এমনকি ইংরেজির অধ্যাপকও অপপ্রয়াগেকরে থাকেন। এতদ্ব্যতীত, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকালীন লেখক প্রত্যক্ষ করেছেন ইংরেজি ভাষী মার্কিনীদের (Native Speaker of English) সঙ্গে কথ্য ইংরেজিতে (Spoken English) যোগাযোগের ক্ষেত্রে সাধারণ শিক্ষিত থেকে শুরু করে বাংলাদেশী ডাক্তার, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী বা অন্যক্ষেত্রে কর্মরত উচ্চশিক্ষিত লোকদের (ব্যতিক্রম রয়েছে) ইংরেজি ভুলভাবে উচ্চারণ করার জন্য কিভাবে কখনো কখনো কাজই করেনি বা তাদের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। এই তিক্ত অভিজ্ঞতাই লেখককে ইংরেজি শব্দের প্রায় শুদ্ধ উচ্চারণ নির্দেশে উৎসাহ যুগিয়েছে। ১১ থেকে শুরু করে ৭৬ পর্যন্ত lesson-গুলোর ক্ষেত্রে। উল্লেখ্য, শুদ্ধ উচ্চারণ নির্দেশের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ধ্বনি-বর্ণমালা বা International Phonetic Alphabet (IPA) ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। সাধারণ পাঠকদের অনেকেরই IPA সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে বাধ্য হয়েই বাংলা প্রতিবর্ণীকরণ (Transliteration— কোনো একটি নির্দিষ্ট ভাষার শব্দের উচ্চারণ অন্য কোনো ভাষার বর্ণমালা ব্যবহার করে নির্দেশ করার পদ্ধতিকে প্রতিবর্ণীকরণ বলে) পদ্ধতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে। তাই নির্দেশিত উচ্চারণকে প্রায়শুদ্ধ বলা হচ্ছে।