সব্যসাচী সেনগুপ্তের জীবনটাই রোমাঞ্চকর,অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতায় পূর্ণ। অতলান্ত রহস্যে একদিন মানুষটিকে ডাক দিয়েছিল শ্মশান। ঘর ছেড়ে শ্মশান থেকে শ্মশানে কেটেছে তাঁর জীবনের অনেকখানি সময়। তন্ত্রসাধকের রহস্যময় জীবন কাছ থেকে দেখেছেন। নিজেও অংশ নিয়েছেন দুরূহ তন্ত্রসাধনায়। কীর্ণাহার, আমোদপুর, আকালীপুরের মতো গ্রাম-মফস্সলের শ্মশান থেকে কাশীর মণিকর্ণিকা পর্যন্ত প্রবল উন্মাদনায় ঘুরে বেড়িয়েছেন অঘোরনাথ তান্ত্রিক, শ্মশানে ডোমের দল যাঁকে ডাকত ছোটগোঁসাই। সব্যসাচী সেনগুপ্তের অঘোরনাথের তন্ত্রকথা-য় জীবনের তীব্রতা নিয়ে হাজির সুন্দরী গৌরী, ময়না বাগদি, সোহাগ, নটী বিদ্যুৎলতা, ভ্রমরের মতো আশ্চর্য নারীকুল। বাঘমণ্ডি পাহাড়ের জঙ্গুলে শ্মশানে নভনীলকে খুঁজতে আসা শহুরে যুবতীর কাহিনি বা ঝিলডাঙার ঝিলে পরি-নামানো আসমান গাজির কথা স্থায়ী ছাপ ফেলে যায় মনে। অজানা অনুভূতিতে আচ্ছন্ন হতেই হয় সাঁওতাল তান্ত্রিক বাপুমণি সোরেনের মৃতার সঙ্গে লতাসাধনার বর্ণনায়। অঘোরনাথের তন্ত্রকথা এক তীব্র গতির জীবনকথা, পরমাশ্চর্যকে জানতে চেয়েছিল যে-জীবন।