অনশনের দুশো দিন পূর্ণ করেও বেঁচে রইল যে-ফজল আলী সে কি বাস্তব কোনও চরিত্র, নাকি এক প্রতীক? সে কি ছাঁটাই কোনও কর্মচারী, নাকি মানুষের মুক্তিদাতা, মহান এক সংগ্রামী, সর্বহারার শ্রেষ্ঠ বন্ধু, সারা পৃথিবীর বুকে যে হানলো তীব্রতম আঘাত? ঘরে-ঘরে রাস্তায়-রাস্তায় দুঃখী মানুষ অপেক্ষা করবে ফজল আলীর জন্য। ফজল আলী শেখাবে— কী করে পটে বাঁধতে হয় পাথর, গড়ে তুলতে হয় দুর্গ, কী করে গাছের মতো প্রকৃতি থেকে টেনে নিতে হয় ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন। সেই অপেক্ষা শুরু হয়ে গেছে। ফজল আলী আসছে। বেঁচে থাকতেই হবে, অথচ খাবার জুটবে না— এ-দুটো জিনিস মেলাতে পারলেই পৃথিবী এবং জীবন হয়ে উঠবে সুন্দর। ফজল আলী জেনে গেছে এই গৃঢ় খবর, জেনে গেছে এর গুপ্ত প্রক্রিয়া, সেই সাধনার কথা শেখাতেই সে আসছে। অপ্রতিরোধ্য তার গতি। ফজল আলী আসছে। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের এই নতুন উপন্যাসের বিষয় ভিন্ন, স্বাদ ভিন্নতর। কোথাও কৃত্রিমতা নেই, আমাদের চারপাশের চেনা জীবন তার সবটুকু স্বাভাবিকতা নিয়ে উপস্থিত, তবু আশ্চর্য তাজা এই কাহিনি। তাজা এবং অনন্য।