ঝরঝরে গদ্য হলেও রূপম-এর ভাষা আসলে কাব্য-ভাষা। ধীরে পড়তে হয়, ভেবে পড়তে হয়। রূপম শুধু লেখেন না, ভাবেন, ভাবানও। রক সংগীতের দর্শনে কোথায় কীভাবে একাত্ম হলেন তিনি, তা বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ছুটে বেড়ান প্রসঙ্গান্তরে: বারবার ফেরত যান ইতিহাসের চরিত্রগুলোর কাছে, তেমনই দ্রুততায় ফেরেন বর্তমানেও। রক সংগীতকে প্রধান চরিত্র করে এ হল রূপমের সংগীত ভাবনার, তার দৃঢ় গাঁথনির, তার শাখা-প্রশাখার এক চিত্তাকর্ষক রোলার কোস্টার রাইড! বাংলায় রক বললেই বাঙালি ভাবেন রূপমের কথা। ‘রকস্টার’ বলতেই মানুষের মনে ভেসে ওঠে তাঁর অননুকরণীয় অদম্য স্টেজ অ্যাক্ট। স্টেজের রূপম-কে তো সবাই চেনেন, এই বই চেনাবে তাঁর প্রস্তুতি। বোঝাবে সংগীতকর্মীর তৈরি হওয়ার সেই জায়গাটা— যেটা হয়তো গান গাওয়া নয়, গান বোঝা। বাংলার সমস্ত ভাবী রকস্টারদের মনের গঠনকে তৈরি করতে চেয়েই রূপম লিখেছেন এই ‘গাইড বুক’। প্রচুর গদ্য, প্রচুর নতুন-পুরনো গান, সেইসব রকস্টারদের গল্প, যাঁদের কাজ সম্পর্কে ধারণা না থাকলে নড়বড় করবে নতুনদের জমি। রক অনুরাগীদের জন্য এক অসামান্য আনন্দ উপহার।